করতোয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিএডিসি থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পের নিবন্ধন নেয়ার অভিযোগ তদন্ত করেছেন পল্লী বিদ্যুতের এজিএম শামসুল হক। আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে তিনি সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে এ অভিযোগের তদন্ত করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর কান্তনগর গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম ও মতিউর রহমান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) থেকে বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পের নিবন্ধন নেন।
এরপর উত্তর কান্তনগর গ্রামের মাঠে সেচপাম্প স্থাপন করে দীর্ঘদিন ধরে আবাদি জমিতে পানি সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ অবস্থায় উত্তর কান্তনগর গ্রামের জনাব আলীর ছেলে আব্দুল মোত্তালেব এই সেচপাম্প থেকে মাত্র ১৮০ ফুট দূরত্বে জমির ঠিকানা দিয়ে বিএডিসি থেকে সেচপাম্পের নিবন্ধন নিয়েছেন।
অথচ সরকারি বিধি মোতাবেক একটি সেচপাম্প থেকে অন্য একটি সেচপাম্পের দূরত্ব থাকতে হবে কমপক্ষে ৭০০ ফুট। কিন্ত বিএডিসি কর্মকর্তা বিধি বর্হিভূতভাবে আব্দুল মোত্তালেবকে সেচপাম্পের নিবন্ধন দিয়েছেন। ওই নিবন্ধন পেয়ে আব্দুল মোত্তালেব পল্লী বিদ্যুৎ থেকে সংযোগের প্রক্রিয়া চলমান রেখেছেন। অথচ সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে হলে জমিতে ঘর ও সেচপাম্পের বোরিং থাকতে হবে। কিন্তু আব্দুল মোত্তাবের এসব কিছুই নেই।
এ বিষয়ে কৃষক মঞ্জুরুল ইসলাম গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ফলে ১৭ ফেব্রুয়ারি দৈনিক করতোয়ায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্প নিবন্ধনের অভিযোগ-শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদটি আমলে নিয়ে কৃষকের অভিযোগের তদন্ত করেছেন পল্লী বিদ্যুতের ধুনট জোনাল অফিসের এজিএম শামসুল হক।
এ বিষয়ে ধুনট পল্লী বিদ্যুতের এজিএম শামসুল হক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ মিলেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলা সেচ কমিটির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এই প্রতিবেদনের আলোকে উপজেলা সেচ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।